হাজী সেলিম

হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল থাকায় তিনি সাংবিধানিকভাবে সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল থাকার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

খুরশিদ আলম খান বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২ এর ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে যদি কেউ নৈতিক স্খলনের দায়ে ২ বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য হবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, হাজী সেলিম যেহেতু দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তাই এটা তার নৈতিক স্খলন হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তার সংসদ সদস্য পদ বাদ হয়ে যাবে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পর দুদকের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

রায়ের বিষয়ে খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদক আইনে (২৬-এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদক এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে হাজী সেলিমকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবে সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়েছে। যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা প্রদান করা হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অপরদিকে হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেছেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাজী সেলিমের এমপি পদ বাতিল হবে না।

এমএইচডি/এসকেডি/এমএমজে