রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে কুপিয়ে শাহিন উদ্দিনকে হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম পুনঃতদন্ত দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

গত ১২ মে শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন— সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ মে শাহিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে বলে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহিন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এসময় শাহিন উদ্দিনের ৬ বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে উপস্থিত ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এনআর/এফকে