তথ্য গোপন করেন দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামের আদালত মামলার সিডি (কেস ডকেট) ও কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ আদেশ দেন। পাশাপাশি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রনপ কুমার ভক্ত বিষয়টি জানিয়েছেন।

২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। পরে চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রিপন উদ্দিন আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বর্তমানে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপার্সন ডা. সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় সাবরিনা দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।

এর আগে গত ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী  আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তিনি।

এনআর/কেএ