প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (১ জানুয়ারি) তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট শিশির মনির বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রথম নামাজে জানাজা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ছাপড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় জানাজা মিরপুর খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতালে সকাল ৯টায়। তৃতীয় জানাজা বেলা ১১টায় বিএনপি অফিসের সামনে ও সবশেষ দুপুর আড়াইটায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আজিপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে তাকে।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খন্দকার মাহবুব হোসেনের জুনিয়র অ্যাডভোকেট শিশির মনির ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, রাত ১০টা ৪০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসাপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ফুসফুসে হঠাৎ পানি আসায় গত ২৬ ডিসেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। শুক্রবার রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।

খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এমএইচডি/এসএম