চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা সহিংসতার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দিপ্তীকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এ সময় বিএনপির আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কুমিল্লার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীপ্তিকে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সোমবার কাজির দেউরি মোড়ে পুলিশের ওপর হামলার সময় নেতৃত্বে ছিলেন। ওই দিনের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের হয়। ওই চারটি মামলার তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। গতকাল গ্রেপ্তারের পর আজ (বুধবার) তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আটক ১৬

জানা গেছে, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সমাবেশ চলছিল। এতে মিছিল সহকারে বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছিলেন। যুবদলের একটি মিছিল কাজির দেউরি মোড় থেকে সমাবেশের দিকে যাচ্ছিল। ওই মিছিলে থাকা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় কাজির দেউরি মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পরিদর্শক বিপ্লবের মোটরসাইকেলে আগুন দেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি আদালত থেকে ফেরা একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে মিরসরাই থানার কয়েকজন পুলিশকে আহত করেন তারা। একই সঙ্গে কাজির দেউরি মোড়ে থাকা নগর পুলিশের সার্ভিস সেন্টার ও ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়।

এসব ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে কোতোয়ালি থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়। মামলাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন, বিস্ফোরক আইন ও দণ্ডবিধি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করা হয়। এই চারটি মামলায় দিপ্তীকে গ্রেপ্তার দেখায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

এদিকে দিপ্তীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দশ জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, দিপ্তীকে গ্রেপ্তার করে বিরোধী দলের চলমান সরকার পতন আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। বর্তমান সরকার মানুষের কথা চিন্তা না করেই একটার পর একটা দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। অবিলম্বে দাম কমাতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না।  

এসকেডি