পল্লবীতে শাহীন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২ মার্চ
রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে শাহীন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এ দিন পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম পুনঃতদন্ত দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নৃপেন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বছরের ১২ মে আদালত শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন— সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২১ সালের ১৬ মে শাহীন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় শাহীন উদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় আসামিরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এনআর/এসকেডি