রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় পরিবহন শ্রমিক ইমরান হোসেনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার কামাল হোসেন নামে এক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুকিত হোসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় সিটি টোলের নামে চাঁদা উত্তোলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে পরিবহন শ্রমিক ইমরান হোসেন (৩৫) খুন হন। এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার।

মামলার আসামিরা হলেন, স্থানীয় ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাসুম মোল্লাসহ (৫০), আকরাম উজ্জামান ওরফে উজ্জ্বল মোল্লা (৩৫), মো. মুস্তাকিম (২৮), মো. শুভ (২৪), মোহাম্মদ আলী (২৭), মো. আরিফ (৩৮), তানজিল মিয়া (২৪), বুলু বাবু (৫০), পলাশ (২৭), মো. জামাল (৩০), রাজিব (২৮), রমজান মোল্লা (৩৭), জাহিন (৪০), মো. দেলা (৩৮), মো. হাসান (২৯), মো. সাগর (২৭), মো. রাজু (২৫), মো. সুমন (২৫), ফয়সাল (২৫), পারভেজ (২৬), মো. সোহেল (২৯), মো. রাজন (২৫)। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামী মো. ইমরান পেশায় পিকআপচালক। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলা নয়ানগরে ভাড়া বাসায় তারা বসবাস করতেন। পাশাপাশি কাঁচা বাজারে পিকআপ, ট্রাকের কুলি মজুরির টোল আদায় করতেন ইমরান। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাঁচা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন ইমরান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই টোল আদায়কে কেন্দ্র করে আমার স্বামী খুন হয়েছেন। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে আমার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করি।

এনআর/এসকেডি