দৈনিক ১৩০ টাকায় কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি শুরু করে ঢাকায় পাঁচটি বাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
 
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। 

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আসামি নুরুলের দুটি বেসরকারি ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় তার ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মাদক, জাল টাকাসহ ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক ১৩০ টাকায় কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম। আট বছর পর ২০০৯ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দেয়। তবে নিজের আস্থাভাজন আরেকজনকে ওই পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে জড়িয়ে পড়ে দালালি সিন্ডিকেটে। মাত্র ১৩০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করা নুরুল ইসলাম এখন ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। রয়েছে একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট, গড়ে তুলেছে নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠান। 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নুরুল ইসলামের ২০০৯ সালে তার কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে ছিল সাড়ে আট লাখ টাকা। ১১ বছর পর তার আয়কর বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ৬৩১ টাকা দেখানো হয়েছে। আর ২০২১ সালে তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৫১ টাকা।

এনআর/এমএ