চট্টগ্রামের সব ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল
চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (১৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। ইটভাটা মালিকদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু।
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে ১৪ কর্মদিবস সময় বেঁধে দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ইটভাটা মালিকরা।
বিজ্ঞাপন
ওইদিন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাঠ ও পাহাড়ের মাটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে- এমন ইটভাটার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের যে ৭১টি অবৈধ ইটভাটায় এর আগে জরিমানা করা হয়েছিল, সেগুলোসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে আবারও সময় প্রার্থনা করলে আদালত ১৪ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯) এর ৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া চালানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ১৪ ধারা অনুসারে ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় শত শত ইটভাটা চলছে এবং এতে করে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। শুধু তাই নয় ১৮২টি ইটভাটা জ্বালানি হিসেবে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এমএইচডি/জেডএস