অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মোশাররফ হোসেন নামে একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মোশাররফ হোসেন নামে একজন সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। জেরা শেষে  আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

এ মামলায় ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ১১জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফারহানা হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন দুদক। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনিবার ফুড, মিনিবার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। 

এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কারওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে। 

অন্যদিকে র‍্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। যার কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। 

এনআর/এমএ