তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বরাদ্দ পাওয়া ৪৩৫ প্লট মালিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্লটগুলোর বর্তমান অবস্থান, ফটোগ্রাফ এবং লে-আউট প্ল্যান দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নজরুল ইসলাম খন্দকার।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১২ সালে দৈনিক কালের কণ্ঠ এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ওই এলাকার প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেটি আমলে নিয়ে একই বছর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। সেই রুল শুনানিতে বুধবার বরাদ্দ পাওয়া ৪৩৫ প্লট মালিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১২ সালের ৯ মে তৎকালীন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের রাস্তার জমি ও নকশা বহির্ভূত জমি প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়া ও নেওয়ায় বিষয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও সমকালে প্রকাশিত দু’টি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। এরপর আদালত আদেশ দেন।

 দৈনিক কালের কণ্ঠের ওই প্রতিবেদেন বলা হয়, ১৯৯৪ সালে সংশোধিত তেজগাঁও শিল্প এলাকার নকশা থেকে দেখা গেছে, সাত রাস্তা থেকে মহাখালী যাওয়ার পথে পূর্ব দিকে লাভ লেন ধরে শ’ দুয়েক গজ এগোলেই একপাশে সারি বেঁধে ১৩৬, ১৩৭, ১৩২ ও ১২৯ নম্বর হোল্ডিং। অন্যপাশে ১৩৭, ১৩৮, ১৭১ ও ১৭২ নম্বর হোল্ডিং। দুই পাশের হোল্ডিংগুলোর মাঝ দিয়ে হাতিরঝিল অভিমুখী ৬০ ফুট চওড়া রাস্তা। এ রাস্তাকেই বানানো হয়েছে প্লট। 

এমএইচডি/কেএ