সারা দেশের ডিগ্রি কলেজে কর্মরত ১৫৪ জন প্রভাষককে এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, এমপিওভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ পরিশিষ্ট থ এর (পাদটিকায়) স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির আবেদনের জন্য ন্যূনতম দুটি বিভাগ থাকতে হবে— এমন শর্তের কারণে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে না পেরে ডিগ্রি কলেজের ১৫৪ জন প্রভাষক এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ প্রদান ও এমপিও প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট দেশের বিভিন্ন জেলার ডিগ্রি কলেজের ১৫৪ জন প্রভাষককে এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণয়ন করে ওই নীতিমালার পরিশিষ্ট থ এর পাদটিকা অনুসারে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম দুটি বিভাগ চলমান থাকতে হবে। যেহেতু রিটকারীদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরও এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি।

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, এমপিওভুক্তির আবেদন করা রিটকারীদের আইনগত অধিকার কিন্তু উপরোক্ত শর্তের কারণে তারা ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। যদিও আগের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ এ ওই নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ অনুসারে ডিগ্রি কলেজের কর্মরত রিটকারীদের ন্যায় প্রভাষক ও কর্মচারীরা এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্তু রিটকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে, তাই তারা রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।

রিট পিটিশনাররা হলেন— মো. আমরানুল হাসান, মো. ওসমান গণি, মো. জেলহক, মো. তোফাজ্জল হোসেন, স্বপন চক্রবর্তি, মো. গোলাম কবির হাসান সিদ্দিক, মো. নুরুল ইসলাম, মো. একরামুল হক, মো. মামুনুর রশিদ এবং মোসা. রেজবানা খাতুনসহ বিভিন্ন জেলার মোট ১৫৪ জন প্রভাষক।

এমএইচডি/এসএসএইচ/