রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় বাদী উত্তরা পশ্চিম থানার র‌্যাব-১ কর্মকর্তা মজিবুর রহমানসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। 

অপর সাক্ষীরা হলেন- র‌্যাবের এএসআই সানাউল্লাহ, সিপাহী আনিসুর রহমান ও নায়েব নুরুল হক।

সোমবার (১৫ মার্চ ) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরের ১৫ জুলাই ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী শাঁখরা কোমরপুর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সাহেদ লবঙ্গবতী নদীতীরের ইছামতি খাল দিয়ে ভারতে পালাতে চেয়েছিল বলে র‌্যাব কর্মকতারা জানিয়েছেন। এসময় তার কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতারের ঘটনায় ওইদিন রাতেই সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সাহেদসহ তিন জনকে আসামি করা হয়।

সাহেদকে গ্রেফতারের পর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ঢাকার পুরনো বিমানবন্দর থেকে নেওয়া হয় র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায়। এসময় সাহেদের সহযোগী মাসুদকে সঙ্গে রাখা হয়। সেখানে রিজেন্ট গ্রুপের এক কার্যালয় থেকে এক লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।

এরপর ১৬ জুলাই এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব-১ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়ে সাহেদকে। এছাড়া রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে দুই নম্বর এবং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

টিএইচ/জেডএস