আদালতে আব্দুর রাজ্জাক

নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও সুরক্ষাসামগ্রী কেনা ও সরবরাহের অভিযোগে করা মামলায় মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাককে জামিন দিয়েছন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ দিন আব্দুর রাজ্জাকের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিযোগপত্র দাখিল হওয়া পর্যন্ত আব্দুর রাজ্জাকের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ তার অস্থায়ী (ধার্য তারিখ পর্যন্ত) জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৮ অক্টোবর রিমান্ড শেষে আসামি রাজ্জাককে কারাগারে পাঠান আদালত।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর আগে ১ জুলাই জেএমআই, তমা কনস্ট্রাকশন, এলান করপোরেশন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেড ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করে চিঠি পাঠায় দুদক।

তলব নোটিশে বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

৮ জুলাই মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মতিউর রহমানকে প্রায় ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল।

টিএইচ/এফআর