রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গৃহবধূ রাশিদা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আরিফুল হক শিপলু নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি শিপলু গৃহবধূ রাশিদা আক্তারের স্বামী হোসেন আলীর বোনের ননদের ছেলে। এদিন রায় ঘোষণার আগে শিপলুকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

এজাহারসূত্রে জানা যায়, স্বামী হোসেন আলীর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার পশ্চিম মানিকদী নামাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন রাশিদা আক্তার। তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। শিপলু ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মানিকদীর ওই বাসায় আসেন। রুমের দরজা খোলা পেয়ে সেখানে গিয়ে রাশিদা আক্তারকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় রাশিদাকে মিরপুর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান রাশিদা।

এ ঘটনায় রাশিদার বাবা লুৎফর রহমান ২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মেডিক্যালে রিপোর্টে জানা যায়, রাশিদাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদ আহমেদ। ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। 

এনআর/এমজে