নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ক্যাসিনো খালেদ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে মাদক ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগে করা দুই মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। রোববার (২১ মার্চ) ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় বিচারক অভিযোগ পড়ে শোনান।
এরপর বিচারক খালেদকে দোষী নাকি নির্দোষ জিজ্ঞেস করেন। উত্তরের খালেদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন। এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হলো। সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এদিন দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। প্রথমে কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদনের বিরোধিতা করেন। আদালত আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ গঠন বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য আছে কি না জিজ্ঞেস করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির জন্য একটি দরখাস্ত আদালতে দাখিল করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন। মামলা দুটির পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
আজ (রোববার) খালেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরেরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। মতিঝিল থানায় মাদক ও অর্থপাচারসহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে তার নামে।
এছাড়া একই দিনে রাজধানীর গুলশান থানায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে সিআইডি মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাব খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম রয়েছে।
টিএইচ/ওএফ