নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়েরসহ ৭২ জনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২২ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কাদের মির্জার অনুসারী বলে পরিচিত ৬৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।

তবে এ মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে আসামি করা হয়নি।

থানা সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা ও ৫ নং চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনকে প্রধান আসামি করে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৬০০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে মিজানুর রহমান বাদল ও কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বার্তা বাজারের প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে, বসুরহাটে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করে। এই দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামিরা।

এমএইচডি/এফআর