অনলাইন জুয়া ও এসএসসি পরীক্ষার মিথ্যা প্রশ্ন সরবরাহের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুর রউফ প্রীতম নামে তরুণের একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ মে) আসামি প্রীতমকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের ক্যান্টনমেন্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহজাহান আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।

আসামি আব্দুর রউফ প্রীতম নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার ব্যাশপুর গ্রামের মো. হারুনুর রশীদের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বালুঘাট এলাকায় বসবাস করত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি প্রীতম প্রতারণার জন্য প্রথমে একাধিক ফেসবুক আইডি ও গ্রুপ খোলে চলমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে উল্লেখ করে পোস্ট করত। শিক্ষার্থীদের আকর্ষিত করতে তার পোস্টে মূল প্রশ্নপত্রের ন্যায় এডিট করা প্রশ্নপত্র সংযুক্ত করে প্রচারণা চালাত। পরে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করলে প্রশ্নপত্রের জন্য বিকাশ বা নগদে অর্ধেক টাকা (১০০০/২০০০) দাবি করতেন। আর বাকি টাকা প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হতো। অর্ধেক টাকা নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদেরকে ব্লক করে দেওয়া হতো। সে একটি ফেসবুক আইডি বেশি দিন ব্যবহার করত না।

এ ঘটনায় ডিবির পুলিশ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এনআর/এমএ