আদালত চত্বরের গাছ থেকে ফল ছিঁড়তে নিষেধাজ্ঞা দিতে চিঠি
সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের আদালত চত্বরে অবস্থিত বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ থেকে কোনো ফল না পাড়তে বা ছিঁড়তে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার (১৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম আরিফ মন্ডল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রধান বিচারপতি বরাবর এ চিঠি পাঠান। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আইন সচিব, পরিবেশ সচিব, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক, পরিবেশ আন্দোলন বাপাকেও চিঠি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের আদালত চত্বরে ফলজ গাছের ডাসা (কাঁচা) ফল সংগ্রহে বিধি-নিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়।
চিঠির কারণ উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, আদালত চত্বরে বিভিন্ন ফলদ গাছ রয়েছে। এসব গাছ যখন ফুলে ফলে ভরে উঠে তখন বুলবুলি, টিয়া, কাক, শালিক, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আর বানর, কাঁঠ বিড়ালি, বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রাণী এটি খেয়ে জীবন ধারণ করে।
বিজ্ঞাপন
পশুপাখিরা সাধারণত পাকা ফল খেয়ে জীবনধারণ করে। অনেক সময় দেখা যায়, এসব গাছের বেশিরভাগ ফল আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে রাতের বেলা হারিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে আদালত প্রাঙ্গণে উন্মুক্তভাবে বেড়ে ওঠা পশুপাখিগুলো তাদের ন্যায্য প্রাকৃতিক খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের খাদ্যচক্রের ব্যাঘাত ঘটছে।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৭ এর ধারা- ৩২ অনুযায়ী দেশের সব আদালত চত্বরকে ‘জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্যগত স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি রাখে। এর ফলে আদালত চত্বরে গাছে বসবাসকারী প্রাণীগুলো টিকে থাকবার সক্ষমতা অর্জন করবে। আদালত প্রাঙ্গণ সংশ্লিষ্টদের গাছ থেকে কাঁচা ফল অপরিকল্পিতভাবে আহরণ থেকে বিরত রাখা আবশ্যক।
এ কারণে আদালত চত্বরকে ‘প্রাকৃতিক পরিবেশবান্ধব চত্বর’ ঘোষণার লক্ষ্যে আদালত প্রাঙ্গণের ফলাদি গাছেই সংরক্ষণপূর্বক পত্রপাখিদের খাদ্যচক্র নিশ্চয়তার সঠিক নির্দেশনা আবশ্যক।
এমএইচডি/এসএম