জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ফের পিছিয়েছে। নতুন করে আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। 

মঙ্গলবার (২৩ মে) আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ ভুইয়া বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ। 

এছাড়া এ মামলায় অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছেন।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

এনআর/এমজে