রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা-ভাঙচুর, সংঘর্ষ, পুলিশের কাজে বাধা, ইট-পাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা আলাদা দুই মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১৬ জন নেতার আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

জামিনপ্রাপ্ত অন্য বিএনপি নেতারা হলেন- দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর শরফত আলী সপু, আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রুমা আক্তার ও আবদুস সাত্তারসহ ১৬ জন।

আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস হিসেবে এই মিথ্যা মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এ সমস্ত কার্যক্রম করে পুলিশ আজ শুধু বিতর্কিতই নয়, তাদেরকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে।

আইনজীবীরা জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ মে) সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই দিন ধানমণ্ডি থানায় পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি নেতারা আবেদন করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এমএইচডি/কেএ