কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ বাড়ি

রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি। পরবর্তী অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আদালত ৯ জুন দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মামলাটির অধিকতর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে রাজশাহী কারাগারে থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান পুনরায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা (২০), রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), হাদিসুর রহমান সাগর (৪০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলম্যান (৩৩), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান ও মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর।

এদের মধ্যে প্রথম ছয় আসামি হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮)। আব্দুর রউফ প্রধান এবং মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর জামিনে আছেন। বর্তমানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনসহ ৭ আসামি কারাগারে আছেন।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ বাড়িতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ৯ জঙ্গি মারা যান। হাসান নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ, অপর একজন পালিয়ে যায়। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

টিএইচ/এমএইচএস