হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে কক্সবাজারের ভ্যাট কমিশনারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী  ১৮ জুন তাকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনজীবী ইসরাত জাহান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান।

এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর কক্সবাজারের সাতটি হোটেলের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা মূল্য সংযোজন কর ফাঁকির অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান হাইকোর্ট বেঞ্চ।

কক্সবাজারে হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিক এবং শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ভ্যাট আত্মসাতের বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চান হাইকোর্ট।

পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক। তবে শুনানিতে ভ্যাট কমিশনারের পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে কক্সবাজারের ভ্যাট কমিশনারকে তলব করেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ জুন তাকে আদালতে হাজির হয়ে এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, কক্সবাজারের অনেক হোটেল, মোটেল এবং রেস্তোরাঁ ভ্যাট দিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কর্মকর্তারা হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে নিয়মিত অবৈধ সুবিধা নেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, বেশিরভাগ হোটেল অতিথি এন্ট্রি রেজিস্টার সংরক্ষণ করে না। এমনকি রুম ভাড়ার তালিকাও তারা সংরক্ষণ করে না। এছাড়া রেস্তোরাঁগুলো ভ্যাট ফর্ম ব্যবহার করে না। তারা ভ্যাট কর্মকর্তাদের মাসিক হারে নির্দিষ্ট ভ্যাট প্রদান করে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কর্মকর্তারা হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে নিয়মিত অবৈধ সুবিধা নেন।

এরপর ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে গত বছরের নভেম্বরে ইসরাত জাহানসহ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী একটি রিট দায়ের করেন।

এমএইচডি/কেএ