সামিয়া রহমান

এলেক্স মার্টিন নামে এক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সামিয়া রহমানের  করা মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩১ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন সামিয়া রহমান।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (৩১ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন সামিয়া রহমান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। এ বিষয়ে আজ (১ এপ্রিল) আদেশ দেয়া হলো।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সামিয়া রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্ল্যাজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ই-মেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে পদাবনতি দিয়ে যে শাস্তির সুপারিশ করে তা মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট। শিকাগো জার্নাল থেকে অফিসিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ইমেইল কখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। এলেক্স মার্টিন নামে এক ব্যক্তির পাঠানো ই-মেইলের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। যদিও এলেক্স মার্টিন নামে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনও কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও এলেক্স মার্টিন নামে কোনো ব্যক্তি নেই। সামিয়া রহমান শিকাগো জার্নালের অফিসিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান।

ক্রেইজ ওয়াকার জানিয়েছেন, এলেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনো শিকাগো জার্নালে ছিল না, কেউ নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মেইলের কোনো সফটকপি সামিয়া রহমানকে দেয়নি। মিথ্যা ও বানোয়াট মেইলের ওপর ভিত্তি করেই সামিয়া রহমানকে ‘চৌর্যবৃত্তির’ মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।

টিএইচ/এসএম/জেএস