চট্টগ্রামে যৌতুক দাবি করার অভিযোগে মো. জয়নাল আবেদীন ভূঁঞা নামে এক চিকিৎসকের দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

যাদের বিরুদ্ধে সমন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- চিকিৎসক জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ফারহানা আক্তার পিংকি, শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম, শ্বশুর মো. আব্দুল মতিন ও শ্যালক মো. জাহিদ হাসান। 

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম জাহেদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। আদালত মামলার অভিযোগ শুনে তদন্তের জন্য নগরের পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটির সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) পুলিশের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ডা. জয়নাল আবেদীন ভূঁঞার সঙ্গে ফারহানা আক্তারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। দুজনের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। চিকিৎসক জয়নাল শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো উপহার নেননি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ফারহানা আক্তার তার স্বামীর কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের দামি উপহার ও টাকা দাবি করতে থাকেন। ফারহানা আক্তারের পরিবারের লোকজনও জয়নাল আবেদীনের কাছে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে টাকা দাবি করতেন। জয়নাল বিভিন্ন সময় তাদের টাকা ও উপহার দেন। স্ত্রী ফারহানা কয়েকমাস আগে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সেখানে গিয়েও তিনি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা দাবি করেন।

ভুক্তভোগী চিকিৎসকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে চিকিৎসক জয়নাল তার স্ত্রীকে একাধিকবার বাসায় আনার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন। তবে স্বামীর পরিবারে ফিরে আসার শর্ত হিসেবে ফারহানা ও তার পরিবার চিকিৎসকের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।

এদিকে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে- যদি বিয়ের কোনো এক পক্ষ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, বিবাহের অন্য কোনো পক্ষের কাছে থেকে কোনো যৌতুক দাবি করেন, তাহলে এ আইনের অধীন তা একটি অপরাধ এবং সেজন্য তিনি অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এমআর/কেএ