রাজধানীর কলাবাগানে শিশু গৃহকর্মী হেনাকে (১০) হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার একমাত্র আসামি সাথী আক্তার পারভীন ডলি।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামি সাথী ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শরীফ সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন : বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় কলাবাগানে গৃহকর্মী হত্যা

এর আগে শনিবার প্রযুক্তির সহায়তায় যশোর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১ এর বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তার শিশু সন্তান আর ওই গৃহকর্মী হেনাকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী হেনা ওই বাসায় কাজ করছিল।

ডলি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, হেনাকে লাঠি আর খুন্তি দিয়ে পিটিয়েছেন। গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেও নির্যাতন করা হতো হেনাকে। খুনের দিন মেয়েটি তার (সাথী আক্তার) বাচ্চার জন্য রাখা খাবার খেয়ে ফেলায় মারধর করেন। নির্মম নির্যাতনের ফলে মারা যায় হেনা।

কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট রাতে ফোনে গৃহকর্মী হেনার মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি মালিক সোসাইটির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলার ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহকর্মী হেনার মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ফেনা এবং শরীর ফুলে গেছে হেনার। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক বাবুল হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।

এনআর/এসকেডি