২০০৭ সালে রাজশাহীতে গৃহবধূ শারমিন আক্তার লিপি হত্যা মামলায় স্বামী রফিকুল ইসলামকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিমার্জন করে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির, মোহাম্মদ নওয়াব আলী ও জিএম মুজাহিদুর রহমান।

জানা যায়, বাগমারার ভবানিগঞ্জে রফিকুল ইসলাম যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিপির ওপর বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।  

তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শারমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।  

এ মামলায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক কে এম শহীদ আহমেদ রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

এমএইচডি/জেডএস