সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ম্যাচ রেফারি শওকাতুর রহমান চিনুর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসান। 

বিসিবির বর্তমান চিফ ম্যাচ রেফারি রকিবুলের মামলা দায়েরের পরই বিসিবির মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপস মীমাংসার দিকে মোড় নেয়। আলোচনায় বসেন রকিবুল ও চিনু। আলোচনা ফলপ্রসূও হয়। নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন চিনু। ক্ষমা চাওয়ায় মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন রকিবুল।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে মামলার বাদী রকিবুল হাসান ও আসামি শওকাতুর রহমান চিনু উপস্থিন হন। এরপর রকিবুলের আইনজীবী আল মামুন রাসেল মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন রকিবুল হাসান

মামলার আবেদনে বলা হয়, রকিবুল হাসান একজন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সুধী (বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সিভিল অ্যাওয়ার্ড)। তাকে নিয়ে ‘মানবতা আজ কোথায়’ নামের একটি পেইজে ভিডিওসহ পোস্ট করা হয়।

পোস্টের হেডলাইন হলো- ‘চোর যখন নীতি বাক্য শুনায়’। এই ভিডিওটি সুব্রত চৌধুরী নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করা হয়। সেই পোস্টে কমেন্ট করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ম্যাচ রেফারি - শওকাতুর রহমান চিনু। তিনি কমেন্টে বলেন- দাদা, এই লোকটার উত্থানের পিছনে তোমাদের অবদানই বেশি। উনি মুক্তিযোদ্ধা কখনো ছিলেন না! অথচ মিডিয়ার কল্যাণে ৫০ বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম??? কি বিচিত্র এই দেশ! সেলুকাস....)।

এই কমেন্টটি করা হয় গত ১৫ আগস্ট। এমন মিথ্যা ও অসৌজন্যমূলক মন্তব্যে তার(রকিবুলের) ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে অর্জিত সুনামের ক্ষতি হয়েছে। যা মিথ্যা তথ্য ও মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ বিধায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারার অপরাধ।

এর আগে গত ২০ আগস্ট চিনুকে তার মন্তব্যটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার এবং জনসমক্ষে তার (রকিবুল) কাছে ক্ষমা চাইতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন রকিবুল হাসান। নোটিশের অনুলিপি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ও আম্পায়ারস কমিটির চেয়ারম্যানকেও পাঠানো হয়।

এনআর/এমএসএ