বিএনপি চেয়ারপাসরন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ কয়েক দফা দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ অক্টোবর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট- কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মো. ওমর ফারুক ফারুকী, আব্দুল খালেক মিলন, খোরশেদ আলম মিয়া, কামরুল ইসলাম সজল, মাহবুবুর রহমান খান, জহরুল ইসলাম মুকুল, মোহাম্মদ আলী,  দেওয়ান রিপন, হাজী মোহাম্মদ মহাসিন, মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাম্মী আক্তার, মোসাম্মৎ হিরা, নারগিস পারভেজ মুক্তি, নুরুল ইমান বাবুল, ইউছুফ সরকার, আজহারুউদ্দিন রিপন, কেএম মিরাজ হোসেন, সাইদুর রহমান সোহাগ, কেএম বরকত সবুজ, মাহাবুব আলম আক্তার, কাজী পনির প্রমুখ। 

জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর আইনজীবীদের সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিটি পদযাত্রার আয়োজন করে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়কে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের লাঠিচার্জ করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখান দিয়ে সিএমএম আদালতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিছুক্ষণ সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর পুলিশ প্রধান ফটক খুলে দেয়।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে কোতোয়ালি থানায় উপ-পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এনআর/এমএসএ