আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থেকে যারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না, তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাতির সম্পদ। আপনারা জাতির জন্য কাজ করুন। কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করবেন না। যারা অতি উৎসাহী হয়ে আওয়ামী লীগ করতে চান তারা দয়া করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে মুজিব কোট পরেন। সরকারি পোষাকে আওয়ামী লীগ করবেন সেই সুযোগ বাংলাদেশে নেই। আপনারা খামোখাই চিহ্নিত হচ্ছেন। এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আছেন তারা বাংলাদেশের সন্তান। আপনাদের বাড়ি–ঘর খুঁজে বের করা এক ঘণ্টার ব্যাপার। ঘটনা ঘটলে সবাইকেই খুঁজে পাওয়া যাবে। যে সরকারি কর্মচারি অতিরিক্ত আওয়ামী লীগ করতে চান, চাকরি ছেড়ে দেন। স্যুট–কোট ছেড়ে দিয়ে মুজিব কোট পড়ুন। সরকারি চাকরিতে থেকে দল করতে পারবেন না। এটি সংবিধান, আইন এবং চাকরি বিধি অনুমোদন করে না। দয়া করে সম্মান বজায় রাখুন। সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের আর বেশি দিন নেই। অনতিবিলম্বে মতিউর রহমান আকন্দকে ছেড়ে দিন। পাশাপাশি সারা দেশে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করুন।

মানববন্ধনে  বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, মতিউর রহমান আকন্দ গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। মানুষ বেচেঁ থাকলেই তো তার বিচার করবেন। মরে গেলে দোষী না নির্দোষ সেটা সাব্যস্ত করলে লাভ হবে না। চিকিৎসার অব্যবস্থাপনার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় আপনারা এড়াতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব রাজনৈতিক বিবেচনা না করে, মানবিক বিবেচনায় তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিঠুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের বিএনপি সমর্থিত এডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ–সভাপতি জালাল উদ্দিন, ড. গোলাম রহমান ভূইয়া, ইউসূফ আলী প্রমুখ। 

এমএইচডি/এমএ