বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় দুই কানাডিয়ান পুলিশ কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে এদের মধ্যে লয়েড শোয়েপের পুনরায় সাক্ষী নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গানকে জেরা করে আসামিপক্ষ। এদিন তার সাক্ষ্য শেষে গতকাল সাক্ষ্য দেওয়া লয়েড শোয়েপের পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আবেদন করে দুদক। আসামিপক্ষের আপত্তিতে পুনরায় সাক্ষ্য নেয়ার বিষয়ে শুনানি ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। 

এদিন সকাল ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন তারা। সাড়ে ১১টার দিকে কেবিন দুগ্গানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্য দিতে তাদের সমন পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

বাকিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। 

এনআর/এসকেডি