আজিজুল হক ইসলামাবাদী/ ফাইল ছবি

বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের সরকারকে উৎখাত করতে ১৮ দলীয় শীর্ষ নেতাদের মদদে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা। 

সোমবার (১২ এপ্রিল) পল্টন থানার মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীর রিমান্ডের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে এসব তথ্য উল্লেখ করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আজিজুল হক ইসলামাবাদী মামলার এজাহারভুক্ত ১৫৭ নম্বর আসামি। তিনিসহ মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে সরকারকে উৎখাতের জন্য ১৮ দলীয় শীর্ষ নেতাদের মদদে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, রড, পাথর ও বোমাসহ মতিঝিল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, ইত্তেফাক মোড়, গোপীবাগ ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। কর্মসূচির একপর্যায়ে আসামিরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে যানবাহনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।’

আবেদনে তিনি আরও বলেন, ‘সমাবেশ চলাকালে আসামিরা সরকার উৎখাতের জন্য বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্যও দেন। একইসঙ্গে ওইদিন (৫ মে) সমাবেশ চলাকালে বিকেল আনুমানিক চারটায় ৬নম্বর পুরানা পল্টন এলাকায় ট্রাফিক অফিসের সামনে অতর্কিত হামলা চালায় কয়েক হাজার উশৃঙ্খল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তারা লাঠিসোটা, লোহার রড ও অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং সরকারবিরোধী মিছিল করে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। চার-পাঁচ জায়গায় ট্রাফিক কার্যালয়ের নিচতলা ও দোতলা রুমে থাকা বিভিন্ন অফিস সরঞ্জামাদি ও মালামালে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ১৩টি গাড়ি আগুনে পোড়ায় ও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিসাধন করে। এ সময় কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যও আগুনে দগ্ধ হয়। বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের সরকারকে উৎখাত করার জন্য ১৮ দলীয় শীর্ষ নেতাদের মদদে এরকম কর্মকাণ্ড ঘটানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। তাই এই মামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানতে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মাওলানা আজিজুল রিমান্ডে

টিএইচ/এসএসএইচ/জেএস