গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, আপনারা রাজনৈতিক নেতা। ভবিষ্যতে হয়ত রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবেন। তাই বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। আপনার বক্তব্য যেভাবে পত্রিকায় এসেছে, এভাবে বলে থাকলে বিচার বিভাগ ভেঙে পড়বে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

শুনানির শুরুতে নুরের আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপনারা আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন। রুলের ব্যাখ্যা দিতে আমাদের সময় প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নুরুল হক নুরের বক্তব্য পত্রিকায় যেভাবে এসেছে উনি সেভাবে বলেননি। রুলের ব্যাখ্যায় আমরা প্রকৃত বক্তব্য তুলে ধরব। আশা করি আমাদের ব্যাখ্যায় আপনারা অখুশি হবেন না।

এসময় আদালত বলেন, আমরাও চাই বক্তব্য ডিফারেন্ট হোক। কারণ পত্রিকায় যেভাবে এসেছে, এভাবে বললে তো বিচার বিভাগ ভেঙে পড়বে। আপনারা রাজনৈতিক নেতা। ভবিষ্যতে হয়ত রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবেন। তাই বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না।

আইনজীবী বলেন, বিচার বিভাগকে ছোট করে কেউ কথা বলুক, এটা আমরাও চাই না। বিচার বিভাগ না থাকলে তো আমরাও থাকব না।

শুনানি শেষে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা দিতে নুরুল হক নুরকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। সেদিনও তাকে আদালতে হাজির থাকতে হবে বলে আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে নুরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট এস এম নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এমএইচডি/আরএইচটি/এসএসএইচ