নুরের মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) আদালতে মামলাটির এজাহার পৌঁছালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম তা গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করে তিনি আগামী ২ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রোববার (১৮ এপ্রিল) আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যারা আওয়ামী লীগ করে, তারা কেউ মুসলমান নয়- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে এমন বক্তব্যের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার নুর ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা প্রকৃত মুসলমান নয়। প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’ এমন বক্তব্য আওয়ামী সমর্থন করা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হেনেছে। তাই মামলাটি রুজু করার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবারের লাইভে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে নুর বলেন,  তারা (আওয়ামী লীগ) মুসলমান না। তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাদের কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কি-না। তারা শরিয়াহ ও সুন্নাহ অনুসারে নিজেদের জীবনযাপন করছে না। 

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের চাঁদাবাজ, মাদক চোরাকারবারি, ধোঁকাবাজ, বাটপার বলেছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) সপ্তাহে একদিন নামাজ পড়েন, কিন্তু কখনও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন না- উল্লেখ করেন নুর।

লাইভে তিনি আরও বলেন, তারা ঘুষ নেয়, চাঁদাবাজি করে, মাদক চোরাচালান এবং টেন্ডার ব্যবসা করেন। আবার নিজেদের মুসলমানও দাবি করেন। কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগের সমর্থন করতে পারেন না। যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তারা প্রকৃত মুসলমান নয়। 

টিএইচ/আরএইচ