ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বলে পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা প্রতারণার মামলায় মতিঝিলের ব্যবসায়ী মাহবুব হাসান জুয়েলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে ৩য় বার তার জামিন নামঞ্জুর হলো।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জুয়েলের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এবং আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খোরশেদ রেজা জোয়ারদার জানান, আজ আসামি জুয়েলের জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেও ২ বার জামিন নামঞ্জুর হয় জুয়েলের। এই আসামির বিরুদ্ধে আরও একাধিক প্রতারণা ও এনআই অ্যাক্ট-এ মামলা রুজু হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি মাহবুব হাসান জুয়েল মতিঝিলের এনবিএম এগ্রো ফুড ও এনবিএম হাউজিংয়ের স্বত্বাধিকারী। তার পিতার নাম সালাউদ্দিন। থাকেন ঢাকার সবুজবাগে। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় কাজে লাগানোর কথা বলে অন্তত ১৬ ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, এর পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা। নির্দিষ্ট সময়ে এই টাকা ফেরত দেবেন মর্মে মাহবুব চুক্তি সই করেন এবং বিনিয়োগকারীদের সবাইকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক দেন।

বিনিয়োগকারীদের একজন এবং মতিঝিল থানার মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি মাহবুবের অফিসে চাকরি করতাম। বেশি অর্থ লাভের আশা দিয়ে তিনি আমার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেন। তিন মাসের মধ্যে সেই টাকা লাভসহ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও দেননি। টাকা চাইতে গেলে নানা টালবাহানা করেন। এক বছর আগে ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

এক বছর পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এরপর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মাহবুবকে আদালতে আনার খবর পেয়ে পাওনাদার অনেকে সিএমএম কোর্টে এসে হাজির হন। তারা মাহবুবকে ‘প্রতারক’ আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি দাবি করেন এবং তাদের পাওনা টাকা আদায় করে দিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এনআর/