স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে স্বামীর জবানবন্দি
উমামা বেগম কনক
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী উমামা বেগম কনককে হত্যার ঘটনায় স্বামী ওমর ফারুক আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, পল্লবী থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল আজাদ তাকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে আসামি ওমর ফারুক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২৪ এপ্রিল) পল্লবী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রান্নাঘর থেকে বটি এনে কুপিয়ে স্ত্রী কনককে গুরুতর আহত করেন স্বামী ওমর ফারুক। পরে তাকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহতের দুলাভাই বাবুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। কয়েক বছর আগে দেশে আসেন। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে। মিরপুরের পল্লবী এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন কনক। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার সদর থানার সাটিরপাড়ায়। কনকের বড় মেয়ে ফাহিমা ‘ও লেভেল’ ও ছেলে ওয়াসিফ তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত পাঁচ বছর আগে ওমর ফারুক জাপান থেকে দেশে আসে। তিনি দেশে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফ্ল্যাট নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওমর ফারুক রান্নাঘর থেকে বটি এনে কনককে কুপিয়ে আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
টিএইচ/ওএফ