টঙ্গীর ভূমিদস্যু কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল ওরফে মাচ্ছা কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর এই আবেদন করা হয়।

১০ আইনজীবী হলেন, সাকিল আহমাদ, তানজিলা রহমান, শামসুর রহমান, আমিনুর রহমান, ইব্রাহিম হোসাইন, রেশমা রোকেয়া, আনিছুর রহমান, হাজারি জাকিয়া হোমায়রা, ফজলুল কবির রিমন ও এসকে তানজিল ফাহাদ। 

আবেদনে দখল করা খাল–বিলসহ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার ও আইন অনুযায়ী কামরুলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কামরুলের অবৈধ সম্পদের উৎস অনুসন্ধান করতে দুদককে অনুরোধ করা হয়েছে আবেদনে। 

আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা জনস্বার্থে যে কোনো বিষয়ে মামলা দায়ের করার অধিকারী। একটি জাতীয় দৈনিকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ‘জমি-খাল গিলে খান রহস্যময় কামরুল’ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘চার হাজার কোটির সরকারি জমি সেই কামরুলের পেটে’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এই আবেদন করা হয়েছে। 

ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আবেদনে বলা হয়, এক সময় স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করলেও জমি, খাল-বিল দখল করে এখন ভূমিদস্যু কামরুল হাজার কোটি টাকার মালিক। খাল-বিল, সরকারি জমিসহ ব্যক্তি মালিকানার অনেক জমি দখল করে বানিয়েছেন শিল্পকারখানা, একাধিক হাউজিং প্রকল্প। এরই মধ্যে ছায়াকুঞ্জ আবাসন প্রকল্পের নামে ২৭ মৌজার ২৬ বিঘা আয়তনের ধনাই বিল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে দাঁড়াইল মৌজার বাগুনি বিলও দেদার ভরাট চলছে। 

আবেদনে আরও বলা হয়, পরিবেশ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুসারে যে কোনো জলাশয়, পুকুর, নদী, খাল, বিল, হাওর ও দীঘি ভরাট করা নিষিদ্ধ। অথচ ওই প্রতিবেদনের পরও এসব খাল–বিল, সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই খাল–বিলসহ সরকারি যেসব সম্পত্তি বেদখল হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করা হয় আবেদনে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে এই বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এমএইচডি/এসকেডি