সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করে বলেছেন, প্রতিহিংসার কারণে সরকার বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাচ্ছে না। তারা চায় খালেদা জিয়া পৃথিবীতে না থাকুক। খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। এজন্য বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না।

রোববার (১২ মে) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছে। সরকার চাইলে তার ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে পারে। এক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। 

গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। 

সবশেষ চলতি মে মাসের শুরুতে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এমএইচডি/এসএম