এ এম আমিন উদ্দিন

করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর অনুমতির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, তাকে বিদেশ নিতে হলে অনুমতির জন্য আদালতে আসতে হবে।’

মঙ্গলবার (৪ মে) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তারপরও আমি না দেখে বলতে পারছি না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কতটুকু প্রয়োজন। তা বাংলাদেশে আছে কি-না, সব দেখে সরকার বিবেচনা করবে।’

এদিকে সোমবার (৩ মে) থেকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে চায় তার পরিবার। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে আলাপ করেছেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়ে সরকারের অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সরকারের সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সোমবার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বিকালে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রাতে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। তার রোগ মুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান জাহিদ।

তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (মঙ্গলবার) সকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

 এমএইচডি/ওএফ