রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরির কারখানা থেকে উদ্ধার সরঞ্জাম

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরির কারখানা থেকে গ্রেফতার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমাম হোসেনসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন- জীবন হোসেন ও পিয়াস করিম। আদালতের কামরাঙ্গীরচর থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুই দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদনও করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে সোমবার (৩ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার (২ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গুলশান গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৪৬ লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল সামগ্রী জব্দ করা হয়। চক্রটি প্রথমদিকে সাভারের জ্ঞানদা এলাকায় জাল টাকা তৈরি করত। ঈদকে সামনে রেখে তারা কামরাঙ্গীরচরে গত তিন মাস ধরে জাল টাকা তৈরির ব্যবসা শুরু করে। চক্রটির দলনেতা জীবন।

কামরাঙ্গীরচরের কারখানা থেকে উদ্ধার জাল টাকা 

এর আগেও জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিকবার জেল হয়েছে তার। জেল থেকে বেরিয়ে সে আবারও জাল টাকা বানানোর কাজ শুরু করে। জীবনকে বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ অনুসরণ করছিল। অবশেষে সে ধরা পড়ল— বলেন মশিউর রহমান।

এছাড়া গ্রেফতার পিয়াস ও ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিক থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করে। ইমাম নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত। পিয়াস বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে পাওয়ারের ওপর ডিপ্লোমা করে। পরে তারা চাকরিও নেয়। কিন্তু আরও বেশি উপার্জনের আশায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে জাল টাকা তৈরির কাজে জড়ায়।

ডিসি মশিউর বলেন, তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঠা ও স্কেল কাটারসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে দেড় কোটি জাল টাকা তৈরি করা যেত।

টিএইচ/এমএআর/