কেন্দ্রীয় কারাগারের সংগৃহীত ছবি

অস্ত্র ও জাল টাকার পৃথক দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব-১ চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। 

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম আব্দুল মালেককে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। 

গত ১ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অস্ত্র ও জাল টাকার মামলায় মালেকের ফের দুই দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত ২১ সেপ্টেম্বর মালেককে পৃথক দুই মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়ার ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজি কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার আব্দুল মালেক ওরফে বাদল ডিজি’র গাড়ির ড্রাইভার। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রায় ২০/২৫ বছর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি তার নিজ কর্মস্থলে খুবই প্রভাবশালী।তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার ব্যবসাসহ নিজ কর্মস্থলে সাংগঠনিক পদবীকে কাজে লাগিয়ে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হন। 

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১ উত্তরা আব্দুল্লাহপুর মোড় এলাকায় ডিউটি থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগ থানা এলাকার বামনার টেক্সট রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ২৪ নং বাসা হাজি কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় আসামি আব্দুল মালেক ওরফে বাদলের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা, একটি স্যামসাং ফোন, একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামি মালেকের বাসা তল্লাশি করে খাটের তোষকের নিচে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরে এই ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানায় র‌্যাব-১ এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন (শহর ও যান) বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫, এ (বি) সহ ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪৮৯(গ) ধারায় এবং অস্ত্র আইনে ১৮৭৮ এর ১৯(এ) ধারায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।

টিএইচ/জেডএস