কাজী সাবিরা রহমান লিপি

রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি হত্যা মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২ জুন) মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কলাবাগান থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক গোলাম রাব্বানীকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে নিহতের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ১/৯৪। রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোমবার সকালে কলাবাগানের বাসা থেকে চিকিৎসক সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) ছিলেন। নিহত চিকিৎসকের শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ ছিল। তার পিঠে দুটি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ।

খবর পেয়ে সেদিনই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। ইউনিটের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে জানান, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা (ব্রুটালি কিলড) করা হয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়ায়নি। তবে, সাবিরার শরীরের কিছু অংশ এতে দগ্ধ হয়।

সাবিরা হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬/৭ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে আছে সাবিরার বাসায় সাবলেটে থাকা শিক্ষার্থী, তার এক বন্ধু, গৃহপরিচারিকা ও বাড়ির দারোয়ান রমজান।

নিহত চিকিৎসক সাবিরা কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি ফ্ল্যাটের দুটি রুম এক তরুণীকে সাবলেট হিসেবে ভাড়া দেন। সোমবার সকালে সাবলেটে থাকা তরুণী হাঁটতে বের হয়েছিলেন। তিনি বাসায় ফিরে দেখেন, সাবিরার রুম বন্ধ। রুমের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে তিনি দারোয়ানকে ডেকে চাবি এনে রুমের তালা খুলে দেখতে পান সাবিরা ফ্লোরে পড়ে আছেন। 

টিএইচ/আরএইচ