সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সাতটি ব্যাংক হিসাব, তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সাড়ে তিন লাখ শেয়ার ও দুটি গাড়ি ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।  দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

ফ্রিজ হওয়া শেয়ারের মধ্যে এনাম মেডিকেল হাসপাতাল লিমিটেডের তিন লাখ ৫৯ হাজার ৫০০টি, এনাম এডুকেশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজের ১০ হাজার ও এনাম ক্যান্সার হাসপাতাল লিমিটেডের ১০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ফ্রিজ হওয়া দুটি গাড়ির দাম এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির নামে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআরসহ অন্যান্য হিসাবের অর্থ (অস্থাবর সম্পদ) অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। মামলা তদন্তকালে তার নামে নিম্নোক্ত ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায়। যা তিনি যেকোনো সময় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন মর্মে জানা যায়। এমনকি হিসাবসমূহের অর্থ বিদেশেও প্রেরণ করতে পারেন বলে প্রতীয়মান হয়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ ফ্রিজ করা আবশ্যক।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এর আগে গত ১০ মার্চ দুদক বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ডা. মো. এনামুর রহমানের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার নামে থাকা পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে তিনি আয়ের উৎস আড়াল করে মানিলন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। 

এনআর/এমজে