গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ছয়জন রিমান্ডে
রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার ( ৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন : মীর মিজান মিয়া, মো. ফারুক, কামাল মিয়া, মো. আল আমিন, মোবারক ও মো. হাবিব মিয়া।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার (০৫ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা অন্য একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গাড়ি ছিনতাই চক্রের হাবীব মিয়াকে গ্রেফতার করি। পরে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে গাড়ি ছিনতাইকারী এ চক্রের সন্ধান পাই আমরা। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, চক্রটি বিদেশ থেকে আসা আত্মীয়কে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করার কথা বলে প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস ভাড়া করত। পরে তারা বিভিন্ন কৌশলে চালকের হাত-পা বেঁধে গাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে যেত। বিদেশ থেকে দেশে অল্প কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে আসা প্রবাসীদের কাছে এসব গাড়ি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করত চক্রটি। এসব তথ্য যাচাই করে আমরা শুক্রবার (৪ জুন) নরসিংদী ও কুমিল্লা জেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রটি এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ গাড়ি ছিনতাই করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত তদন্তে জেনেছি, চক্রটি সব থেকে বেশি গাড়ি বিক্রি করত সিলেটে। সিলেটে ইউরোপ থেকে প্রবাসীরা দেশে বেড়াতে আসতেন। তখন তারা অল্প দামে গাড়ি খুঁজতেন কয়েক মাসের জন্য। আর চক্রটির সদস্যরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের কাছে এসব গাড়ি বিক্রি করত। তাই গাড়ির কেনার আগে সব তথ্য ক্রেতাদের যাচাই করে নিতে হবে। না হলে এসব গাড়ি কিনে তারা নিজেরাও বিপদে পড়ে যাবেন।
টিএইচ/এসকেডি