আদালতের কাঠগড়ায় গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাদল হোসেন মুন্না (২১) নামের এক আসামি। আহত অবস্থায় তাকে আদালতের পাশে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে কদমতলীতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মেয়ের বাবা মামলা করে। এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে আসামিপক্ষ ভিকটিমকে পুনরায় জেরার আবেদন করেন। আজ ভিকটিমকে জেরা করা হয়। ভিকটিম জেরায় বলেছেন, আসামির সঙ্গে মেয়েটির কোনো সম্পর্ক ছিল না। পরে হয়তো আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মো. সালাউদ্দিন বলেন, মুন্নার শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এটা একটা পুলিশ কেস।

মুন্নার বাবা বাবা আব্দুল আলী বলেন, কয়েক মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। আজ জামিন শুনানি ছিল। সে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গলায় ব্লেড চালিয়েছে।

আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান বলেন, আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল। তার কাছে নাম জানতে চাই। তাকে যেন আগে হাজতখানায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সে নাম বলে না। কাঠগড়ার মধ্যেই একপর্যায়ে আমাদের সামনে থেকে একটু দূরে চলে যায়। পরে দেখি তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। সে পড়ে যাচ্ছিল। দ্রুত গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। নিচে শেভ করা রেজারের ব্লেড দেখতে পাই। এরপর মুন্নাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এনআর/এআইএস