নুরুল হক নুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

চার্জশিটে দুই আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ দুজন হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৮ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। আজ সোমবার (১৪ জুন) সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআর শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নুর ছাড়া অব্যাহতি পাওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি (২৩)।

এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি হাসান আল মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে আসামি হাসান আল মামুন তার বাসা লালবাগে যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলােভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরদিন বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার ৯ দিন পরে ১২ জানুয়ারি আসামি নাজমুল হাসান সােহাগের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগােপন করেন। আসামি নাজমুল হাসান সােহাগ আসামি হাসান আল মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে মিউনিসিপাল হকার্স মার্কেট এলাকায় সদরঘাট হােটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। সেখানে বাদীকে নাস্তা করান। এরপর নাজমুল হাসান সােহাগ বিভিন্ন প্রলােভন দেখিয়ে কৌশলে লঞ্চ যােগে বাদীকে চাঁদপুর নিয়ে যান। চাঁদপুর পৌঁছানাের পর হাসান আল মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর সন্দেহ হয়। তখন নাজমুল হাসানকে দ্রুত ঢাকা ফেরার জন্য বলেন তিনি। নাজমুল তাকে নিয়ে বিকেলে ফিরতি লঞ্চে কেবিনে অবস্থান করেন। সেখানে নাজমুল হাসান তাকে ধর্ষণ করেন।

টিএইচ/এইচকে/জেএস