মাদক মামলায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এছাড়া একই মামলায় গ্রেফতার হওয়া লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধার (২৪) তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুরে বিমানবন্দর থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। 

সোমবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে পরীমণির দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ তাদের তিন ‘রক্ষিতা’কে গ্রেফতার করে ডিবি। অভিযানে অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।

গত রোববার (১৩ জুন) রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, গত ৯ জুন (বুধবার) উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

টিএইচ/এসএসএইচ/জেএস