চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার পাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে নতুন চিফ লিগ্যাল এইড অফিসারের পদ তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (সিনিয়র জেলা জাজ) শেখ আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সরকার সব জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন (২০০০ সনের ৬ নং আইন) এর ২১গ ধারা কার্যকর করেছে। ২১গ ধারা অনুযায়ী ‘পক্ষগণের স্বাক্ষর ও মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষরক্রমে সম্পাদিত এবং চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রতিটি মধ্যস্থতা চুক্তি চূড়ান্ত, বলবৎযোগ্য এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হবে’।
বিজ্ঞাপন
এমতাবস্থায়, সব জেলায় ২১গ ধারা কার্যকর হওয়ায়, আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ এর ধারা ২১ ক উপ-ধারা (১ক) এর ক্ষমতাবলে চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত লিগ্যাল এইড অফিসার/লিগ্যাল এইড অফিসারকে (ভারপ্রাপ্ত) আইনের বিধানমতে চিফ লিগ্যাল এইড অফিসারের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ পদায়নের মাধ্যমে দেশের সব জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর তফসিলভুক্ত ৮টি বিষয়ে ১২ জেলায় মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বাধ্যতামূলক বিধান কার্যকর করা হয়েছে।
ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ জেলায় পারিবারিক আদালত আইন, যৌতুক নিরোধ আইনসহ আটটি আইনের অধীনে আদালতে সরাসরি মামলা করা যাবে না। এসব মামলার আগে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ১২টি জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ (২০০০ সালের ৬ নং আইন) এর ২১খ ধারার বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার উদ্যোগ সংক্রান্ত বিধান কার্যকরের দিন ধার্য করেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এই বিধান কার্যকর করা হবে।
এমএইচডি/জেডএস