পটুয়াখালী ও ময়মনসিংহ পৌরসভার সাবেক দুই মেয়রসহ ৩ জন রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বাড্ডা থানার মাসুদুর রহমান হত্যা মামলায় পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র কায়সার আহাম্মদসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর আসামি হলেন, ক্যান্টনমেন্ট থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি খায়রুল খান জুয়েল।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আজ তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর গুলশান জোনাল টিম ডিবির পরিদর্শক এ এন এম নুরুজ্জামান ও মো. মোজাম্মেল হক মামুন পৃথক দুই আবেদনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই বাড্ডা থানাধীন লিঙ্ক রোড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন হাফেজ মাসুদুর রহমান। বিকেল তিনটায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন। পরে বিকেল চারটায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা হয়।
বিজ্ঞাপন
অপর মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল গুলশান থানাধীন গুলশান-১ এর ১৩৬ নম্বর রোডের জব্বার টাওয়ারের পাশে রাস্তার ওপর অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জন সমবেত হয়। ওইদিন সাড়ে ৭টায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশ বিয়োধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
এনআর/এসএম