পি কে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট। আগামী সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শোনার পর পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন করা হবে কি না সে বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

সোমবার (২১ জুন) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পিপলস লিজিং পুনরুজ্জীবিত করতে ২০১ জন আমানতকারীর শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। অবসায়কের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মেজবাহুর রহমান।

বর্তমানে পিপলস লিজিংয়ের কোনো পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি নেই। আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অবসায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অবসায়ক চেষ্টা করছেন, আদালতের মাধ্যমে ঋণের টাকা ফেরত আনার। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। যদিও আমানতকারীরা এখনই কোনো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক আমানতকারী।

এ অবস্থায় পিপলস লিজিং পুনর্গঠনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আমানতকারীরা।

১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার। এরপর আদালতের আদেশে নিযুক্ত হন অবসায়ক।

এমএইচডি/জেডএস/জেএস